1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
নেতৃত্বে ডিজি‘র ভাই নুর উদ্দিন আনিছ ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ,বদলী ও টেন্ডার বাণিজ্যে! - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৬:০২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাব’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন খাদ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ও এম এস এর পণ্য চুরির অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের রায় উপেক্ষা করে কালবে চেয়ারম্যান পদে আগস্টিন পিউরিফিকেশন! জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশ কেবলই মুগ্ধতা ছড়ায় বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির পানি ও স্যালাইন বিতরণ বিপ্লব, রশিদ, মুসা এবং হাসান কিভাবে ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধের উৎপাদন ও বাজারজাত অব্যাহত রেখেছে? গাইবান্ধা সদরে হত্যার উদ্দেশ্যে যুবককে ছুড়িকাঘাত,গৃহবধুর শ্লীলতাহানি আগামী শুক্রবার প্রতিভা প্রকাশ লেখক সম্মিলন রাজধানীর মিরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার আজ পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস
নেতৃত্বে ডিজি‘র ভাই নুর উদ্দিন আনিছ ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ,বদলী ও টেন্ডার বাণিজ্যে!

নেতৃত্বে ডিজি‘র ভাই নুর উদ্দিন আনিছ ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ,বদলী ও টেন্ডার বাণিজ্যে!

স্টাফ রিপোর্টার:

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্যাপক হারে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় বিরক্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কারণ, সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তাঁরা ব্যবসায় জড়াচ্ছেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বেতন-ভাতা বাড়ানোর পরও সরকারি চাকরিজীবীদের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সরকারের নীতি নির্ধারকদের। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যেসব কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যবসায় জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিধিমালার ১৭ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অনুমোদন ছাড়া, সরকারি কাজ ছাড়া অন্য কোনো ব্যবসায় জড়িত হতে পারবেন না। অন্য কোনো চাকরি বা কাজ গ্রহণ করতে পারবেন না। পরিবারের সদস্য অর্থাৎ স্ত্রী সন্তান,ভাই, বোনও ব্যবসা করতে পারবেন না।
সরকারী এই বিধি ভঙ্গ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন তার আপন ভাই নুর উদ্দিন আনিছের মাধ্যমে অধিদপ্তরে ঠিকাদারী ব্যবসা করাচ্ছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়াগেছে। কেবল ঠিকাদারী ব্যবসায় নয়, অধিদপ্তরের নিয়োগ ,বদলী ও টেন্ডার সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কিছুদিন আগে এই অধিদপ্তরে ৫৫০ জন ফায়ার ফাইটার ও অন্যান্য কর্মচারি নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগে প্রার্থী প্রতি ১০ থেকে ১৪ লাখ টাকা ঘুস নেওয়ার অভিযোগ ঊঠেছে ডিজির ভাই নুর উদ্দিন আনিছের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আনিছের তদবীর ছাড়া কোন বদলীই হচ্ছে না অধিদপ্তরে। একেকটা বদলীতে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুস নেওয়া হচ্ছে।
সুত্রমতে, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন অধিদপ্তরটিকে তার ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে একক সিদ্ধান্তে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অধিদপ্তরে একজন পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), একজন উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সহ আরো অনেক কর্মকর্তা থাকলেও তাদের কোন মতামত নেওয়া হচ্ছে না। ডিজি নিজেই ফাইল স্বাক্ষর করে নীচে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
কিছুদিন আগে অধিদপ্তরের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন তার আপন ভাই নুর উদ্দিন আনিছ পরিচালিত মেসার্স নজির এন্ড সন্স নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতি কেজি ১৪ টাকা বেশী দরে মশুর ডাল ক্রয় করে দেশের সকল বিভাগে সরবরাহ করেন। যাতে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয় মর্মে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তা জানান।

অভিযোগ উঠেছে যে, মহাপরিচালক এই অধিদপ্তরে যোগদান করার পরেই কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তিনি অর্থের বিনিময়ে দক্ষ কর্মকর্তাদের ঢাকার বাইরে বদলী করে অদক্ষ কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করেছেন। ফলে অধিদপ্তরের কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। অদক্ষ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অধিদপ্তর পরিচালনা করার কারণে বঙ্গবাজার অগ্নি কান্ডের সময় ক্ষুব্ধ জনগন অধিদপ্তরে হামলা ও ভাংচুর করেন।

বর্তমানে অধিদপ্তরটিতে যে সব কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে অর্থ লুটে নিচ্ছেন তারা হলেন:

বর্তমান মহাপরিচালকের ভাই নুর উদ্দিন আনিছ, পরিচালক (প্রশা: ও অর্থ) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ওয়ারহাউজ ও ফা: প্রি:) মানিকুজ্জামান, সহকারী পরিচালক (অপারেশন) নজমুজ্জামান, উপপরিচালক (রাজশাহী) ওহিদুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী (রাজশাহী) , সিনিয়র স্টেশন অফিসার (চট্রগ্রাম) খলিলুর রহমান প্রমুখ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিদপ্তরের উন্নয়ন শাখার কাজের জন্য বছরে সরকারী বরাদ্দ ৩০ লক্ষ টাকা। এই টাকার কাজ কোটেশনের মাধ্যমে করার কথা থাকলেও ডিজি তার ভাইয়ের বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কোটেশন দিয়ে টাকাগুলো হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব কাজের মধ্যে ডিজি অফিসের করিডোর মেরামত, সদর দপ্তরের বাউন্ডারি ও গেইট মেরামত, সেমিনার কক্ষ মেরামত ও কেন্টিন নির্মাণ করা হয়।

অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উন্নয়ন শাখার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কাজের জন্য কোন ইঞ্জিনিয়ার নেই। এ সকল কাজ করতে ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রয়োজন কিন্তু এসব না মেনেই ইঞ্জিনিয়ার বিহীন নিজের মতো করে টাকা আত্মসাৎ করতে নিজস্ব সিন্ডিকেট দিয়ে কাজ করেন ডিজি মাইন উদ্দিন। এসব কাজ গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতায় থাকলেও নিয়ম ভঙ্গ করে ডিজি তার ভাই নুর উদ্দিন আনিছের নামে বেনামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে করান যা নিয়ে অধিদপ্তরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এসব কাজে টেন্ডার করার নিয়ম থাকলেও তা না করে কোটেশনের মাধ্যমে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

নুর উদ্দিন আনিছকে অধিদপ্তরের সবাই অলিখিত ডিজি হিসেবে চিনেন। ফায়ার সার্ভিসের সব কর্মকর্তার বদলী হতে নুর উদ্দিন আনিছের দরবারে প্রতিনিয়ত হাজিরা দিয়ে থাকেন। টাকার বিনিময়ে বদলী হতে হয় সব কর্মকর্তাদের। খান খলিলুর রহমান বর্তমানে চট্রগ্রামে আছেন। তাকে টাকার বিনিময়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পদায়ন করা হয়েছে। এই টাকা ডিজির ভাই নুর উদ্দিন আনিছ নিজ হাতে গ্রহন করেছেন।

এই অবৈধ লেনদেন করার জন্য নুর উদ্দিন আনিছ মিরপুর কয়েকটি দরবার অফিস পরিচালনা করেন। সেই অফিসগুলোতে বদলী, নিয়োগ ও টেন্ডার সংক্রান্ত টাকা লেনদেন হয়। এই

তিসতা বিডি ইন্জিনিয়ারিং, বাড়ী নং ৭,ব্লক ১৪,পল্লবী,মিরপুর। এর মাধ্যমে ডিজির ভাই নুরুদ্দিন এই প্রতিষ্টানের সকল কাজ কর্ম টেন্ডার নিযে থাকে আর এই অফিসে বসেই তিনি ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ রযেছে। এখান থেকে
পরে রাতের আঁধারে টাকাগুলো মিরপুর থেকে ডিজির বনানীর বাসায় চলে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়োগ পরীক্ষা এক ঘণ্টা পর শুরু
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গত শনিবার বিকেল ৪টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বনির্ধারিত সময় থাকলেও শুরু হয়নি। ফলে ২০ থেকে ২৫ জন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে বিকেল ৫টায় পরীক্ষা শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পরীক্ষার দিন প্রশ্ন ছাপিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নেয় ফায়ার সার্ভিস। বিএনপির কর্মসূচির ফলে সড়কে জ্যাম এবং প্রশ্ন ছাপাতে কারিগরি ত্রুটির কারণে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় একটি কেন্দ্রে পরীক্ষার প্রশ্ন পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। ফলে পরীক্ষা শুরু হতে কিছুটা দেরি হয় ওই কেন্দ্রে। পরে সবারই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করেছে তাদের অনেকে পরীক্ষার্থী নয়। রমনা থানা-পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে পরে ছেড়ে দিয়েছে। জানা গেছে, কম্পিউটার অপারেটর, ওয়ারলেস মেকানিক, অফিস সহকারী, স্টোর সহকারী, ইলেকট্রিশিয়ান ও অফিস সহায়কের পদে নিয়োগ পরীক্ষা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর চারটি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
রমনা থানার ওসি  বলেন, পরীক্ষা শুরু হতে দেরি হওয়ায় আন্দোলন করেছিল পরীক্ষার্থীরা। পরে এক ঘণ্টা পর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন এর অফিসে ও সেল ফোনে বারবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »